কলাপাড়া ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা কেড়ে নিয়েছে।
দল ক্ষমতায় আসলে আমরা সবার অধিকার ফেরত দিব। ২০০৪ সালে ২রা ডিসেম্বর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কলাপাড়ায় এসেছিল তখন এই পর্যটন ইয়ুথ ইনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। একই উপজেলায় ২টি সরকারি হাসপাতাল যা বাংলাদেশের মধ্যে বিরল ঘটনা সে কাজটি বেগম খালেদা জিয়া করেছেন। বুধবার শেষ বিকালে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া অনেক জুলুমের শিকার হয়েছেন তবুও এ দেশের মাটি ও মানুষকে ছেড়ে পালিয়ে যাননি। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের নেত্রী কোথায়? এমন নেত্রীর রাজনীতি না করাই ভালো যে নেত্রী দেশ ছেড়ে পালায়। স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সালিশ বাণিজ্য করা যাবে না, কারো জমি দখল করা যাবে না, কারো উপরে অন্যায় আচরণ করা যাবেনা।
এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত প্রমান পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আজিজ মুসুল্লির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরে বক্তব্য রাখেন কলাপারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার,সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. হাফিজুর রহমান চুন্নু, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো.ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্ন মুন্সী, মহিপুর থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ জলিল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শাহজাহান পারভেজ, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সাইদুর রহমান সোহেল প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন অতিথিরা। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব কুদ্দুস মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবিএম মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, গণ মাধ্যমের স্বাধিনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
সংবাদকর্মীরা সঠিক সংবাদ পরিবেশন করতে ভয় পেত। আমরা গণ মাধ্যমের পূর্ন স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিব। বিএনপি মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। এর আগে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সদস্যরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন
কলাপাড়া